হাফসিল্ক শাড়ির যত্ন

  • 08 February, 2021
  • Rumana Rashid

★ হাফসিল্কের শাড়ি স্যাঁতসেঁতে জায়গায় একদম রাখা যাবে না।

★ হাফসিল্ক শাড়িগুলোতে ন্যাপথালিন বল না রাখাই ভালো। এতে শাড়িতে ন্যাপথলিনের গন্ধ বসে যেতে পারে।

★হাফ সিল্কের শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। নয়তো ভাজ করে রাখলে ভাজের জায়গায় ডিসকালার হয়ে যেতে পারে, নয়তো ওই জায়গাটা ফেঁসেও যেতে পারে।

★ঘন ঘন ধুবেন না, ব্যবহার করার পর ঘামে ভেজা অবস্থায় রাখবেন না অবশ্যই হালকা রোদে শুকিয়ে রাখবেন।

★ এই হাফসিল্ক শাড়িগুলো ওয়াশ করার বিষয়েও থাকতে হবে সাবধান। তাই এই শাড়িগুলো ড্রাই ওয়াশ করলে ভালো হয়। তবে বাসায় ওয়াশ করতে চাইলে হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে পানিতে খুব অল্প কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিয়ে সূর্যের আলোতে শুকিয়ে নিতে হবে। তবে এই শাড়িগুলো জোরে কচলানো যাবে না। এতে কাপড়ের স্থায়ীত্বে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ১ মাসের আগে শাড়ি ওয়াশ না করাই ভাল।

★ বাড়িতে সিল্ক শাড়ি ইস্ত্রি করার ক্ষেত্রেও বাড়তি সাবধানতা মানতে হবে। শাড়ি উল্টো করে ইস্ত্রি করতে হবে। এক্ষেত্রে পাতলা কাপড় বিছিয়ে নেওয়া ভালো।

★ আমাদের দেশে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি, ফলে কাপড়ে খুব সহজেই ছত্রাক পড়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে মাঝে মাঝে শাড়ি রোদে দিয়ে ভাঁজ পাল্টে নিন। আবার কাঠের আলমারির ঘুণপোকাও কাপড় কেটে ফেলতে পারে। আলমারির ভেতর বার্নিশ বা কেরোসিন দিয়ে মুছে নিলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

★ শাড়িতে সুগন্ধি স্প্রে না করা ভালো। শাড়িতে কোথাও দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পাউডার দিয়ে, পরে ধুয়ে ফেলুন। ঘামে ভেজা শাড়ি কখনোই ভাঁজ করা যাবে না। শুকিয়ে, পরিষ্কার করে তারপর তুলে রাখুন। প্লাস্টিকের ব্যাগে সিল্ক শাড়ি সংরক্ষণ না করাই ভালো। এতে শাড়ির ভেতরের আর্দ্রতা থেকে যেতে পারে।